জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ৫ প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর হারুন রাশীদ। আতাউর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ১২৮৬ এবং হারুন রাশীদের প্রাপ্ত ভোট ৪৭৭৫।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে
জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট যদি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী পান- তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। উপনির্বাচনের মোট ৪৫ হাজার ৬২০ ভোট কাস্টিং হয়েছে। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি ৫ হাজার ৭০২ ভোটের চেয়ে কম ভোট পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. নুরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ২১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম পান ১১ হাজার ২০৩ ভোট ও জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম কামালি সিতু পেয়েছেন ৬ হাজার ১৪৪ ভোট।
এরা মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন। ফলে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে না। তবে অপর ২ প্রার্থী নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মোট ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম অর্থাৎ ৫ হাজার ৭০২ ভোটের কম পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন মারা যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।