বন্যার পানি নেমে গেছে বেশ কয়েকদিন আগে। এরই মধ্যে আগাছা পরিষ্কার করে বোরো ধান আবাদে মাঠে নেমেছেন দেশের বৃহত্তম খাদ্য উৎপাদনকারী অঞ্চল নলুয়ার হাওর ও জগন্নাথপুরে অধ্যুষিত চিলাউড়ার কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে নলুয়ার হাওরে ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বোরো ধানের বীজ রোপণ চলছে জোরেসোরে।অল্প অল্প কুয়াশা আর হাল্কা শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের বীজ রোপন করছেন শ্রমিকরা।
তবে এবার অন্য বছরের তুলনায় পারিশ্রমিক বেশি এবং শ্রমিক সংকট নিয়ে খানিকটা বেকায়দায় পড়বে কৃষকরা। সেই সঙ্গে ধান বীজ, সার ও জ্বালানির মূল্য বাড়ায় এবার বোরো চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেশি পড়বে।
বিকল্প ফসল চাষাবাদের কোনো সুযোগ না থাকায় সংকট ও সমস্যা থাকলেও বোরো চাষই হচ্ছে চিলাউড়ার কৃষকদের একমাত্র ভরসা।
এখন কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা প্রাপ্তি নিশ্চিত হলে এবং চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিগত বছরের ন্যায় এবারও বোরোতে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
চিলাউড়া মাঝপাড়া গ্রামের কৃষক মো. রাসেল আহমেদ জানান, এবার তিনি 15 বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান বেশি করেছেন। তবে কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু-১০০ জাত-সহ ব্রি -২৯ জাত ও ইস্পাহানি জাতের ধান আবাদ করেছেন। শ্রমিক সংকট ও পারিশ্রমিক বেশি এবং কীটনাশকের দাম বেশি, জমি উর্বর করার খরচ ও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
সম্পাদক: মোঃ হোসাইন আহমেদ
গ্রাম: চিলাউড়া মাঝপাড়া, জগন্নাথপুর,সুনামগঞ্জ
মোবাইল:- +8801770322495